অগ্রসর রিপোর্ট : অভিবাসীদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নবম আন্তর্জাতিক গ্লোবাল ফোরাম মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেছেন, অভিবাসীরা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য কাজ করছে। অভিবাসন ছাড়া আধুনিক বিশ্ব অকল্পনীয়। এটি সব সমাজকে মেনে নিতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক সম্মেলন গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (জিএফএমডি) উদ্বোধন ঘোষণাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিবাসনের সম্ভাবনাকে কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। বিশ্বের যেখানেই হোক অভিবাসীরা যাতে তাদের অধিকার পান, স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, একজন অভিবাসী যখন তার দেশ, পরিবার ত্যাগ করে, তখন তাকে অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হয়। তিনি অন্য দেশের উন্নয়নে কাজ করেন। আর এ জন্য যৌবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় পরদেশে কাটিয়ে দেন। অথচ আমরা অনেক সময় তাদের অবজ্ঞা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ শুধু কাজের জন্য নয়, বহুবিধ কারণে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যায়। তাই আমাদের দেখতে হবে আমরা কীভাবে অভিবাসীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে পারি। আমাদের আরো নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে, প্রতিটি অভিবাসী যেন সুরক্ষা পায়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আমরা এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। অভিবাসীরা আজ আমাদের কিংবা তাদের বিষয় নয়- সবার বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসীদের সুরক্ষায় বেশ কিছু অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তবে সেই অর্জনকে আরো বাড়াতে হবে বলে তিনি মত দেন।
তিনি বলেন, অভিবাসন একটি জটিল মানবিক ব্যাপার। অভিবাসন নিয়ে অভিবাসীদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বরং অভিবাসন কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেটি দেখা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সেপ্টেম্বর অভিবাসন ও উদ্বাস্তু সম্মেলনে এ বিষয়ে বিশ্ব আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্র ও নাগরিকের সঙ্গে একটি ব্যাপকভিত্তিক চুক্তিতে উপনীত হতে যাচ্ছি, যা ২০১৮ সালে কার্যকর করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অভিবাসীদের সুরক্ষার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এজেন্ডা-২০৩০ এ অভিবাসন ও উদ্বাস্তু সম্পর্কে আমরা যে অঙ্গীকার করেছি, তা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি আনন্দিত যে, সংকট ও সংঘাতময় পরিবেশে অভিবাসন ও সুশাসন বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের অবশ্যই অভিবাসীদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে কাজ করতে হবে।
শনিবার থেকে শুরু হয়েছে সরকারি পর্যায়ের আলোচনা, চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অভিবাসন ও উন্নয়ন নিয়ে জাতিসংঘের উদ্যোগে এক দশক আগে জিএফএমডি সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত বছর তুরস্কের কাছ থেকে বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান পদ লাভ করে।