আজ বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসিবি) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা বিদ্যুতের অবস্থা খারাপ দেখি। বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে আমরা তখন কাজ শুরু করি। শুধু সরকারি খাতে নয়, আমরা বেসরকারি খাতেও বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ করে দিই।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ৮০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ৭ বছরে আমরা ১৫ হাজার মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছি। ১ কোটি ১৪ লাখ সংযোগ দিতে পেরেছি। দেশের ৭৮ শতাংশ মানুষ এ বিদ্যুৎ সুবিধা উপভোগ করছে।
তিনি বলেন, আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি, সেই সঙ্গে আমরা ভারত থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। আমরা এ দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার পরিকল্পনা করেছি। আর ২০৪১ সালের মধ্যে এ দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চাই। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগা ওয়াটে উন্নীত করা হবে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ হাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগা ওয়াটে উন্নিত করার মহা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে ৩৪ হাজার গ্রাহকের কাছে গ্যাস সরবরাহ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, আমদানির ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে কথা হয়েছে। নেপাল, ভুটানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। সেখানে আমরা উৎপাদন করব, বিক্রি করব। বিদ্যুৎ নিয়ে আসব। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের কাজ শুরু হয়েছে। মূল প্রকল্প পাস হয়ে গেছে। এ ছাড়া আমরা সৌরবিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস উৎপাদনে পদক্ষেপ নিয়েছি।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আমি নিজেই সুইচ অফ করি। অনেক কর্মকর্তা নিজেকে বড় ভেবে বিদ্যুতের সুইচ অফ করেন না। নিজের কাজ নিজে করায় কোনো লজ্জা নেই।
[youtube https://www.youtube.com/watch?v=e-E-EnnsHvk]