এর আগে গত ০৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা অবস্থায় নিজাম হাজারীর রক্তদান ও তার কারাবাসের রেয়াত পাওয়ার বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। গত ৩১ আগস্ট নিজাম হাজারীর এমপি পদের বৈধতা প্রশ্নে রুলের রায় ঘোষণা পিছিয়ে নিজাম হাজারী কারাবাসকালে কত ব্যাগ রক্ত দিয়েছেন, এর ফলে কতদিন কারাবাস রেয়াত পাওয়ার অধিকারী হয়েছেন, তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর গত ৩ আগস্ট উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ জুলাই হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী আড়াই বছর সাজা কম খেটে বেরিয়ে গেছেন মর্মে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন কারাকর্তৃপক্ষ।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ বছরের সাজার মধ্যে তিনি সাজা খেটেছেন ৫ বছর ৮ মাস ১৯ দিন।
উল্লেখ্য, ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্যপদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট রুল দেন। কোন কর্তৃত্ববলে তিনি এমপি পদে দায়িত্ব পালন করছেন রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চ এই রুল শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। তারপর বিচারপতি মো. এমদাদুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।