আজ রবিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, শক্তিশালী বিমান বাহিনী গঠন করা। আমরা আজ সেটি করতে সক্ষম হয়েছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০০ সালে বিমান বাহিনীর জন্য মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমান কেনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির অপারেশনাল স্কোয়ার্ডনগুলো আন্তর্জাতিক মানের। বঙ্গবন্ধু ঘাঁটি বাংলাদেশের আকাশসীমাকে শত্রুমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম। একটি স্বাধীন জাতির আকাশসীমাকে নিরাপদ ও শত্রুমুক্ত রাখাই বিমানবাহিনীর মূল দায়িত্ব।
তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় এই ঘাঁটির পারদর্শিতা প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ৫ বছরে সফল উড্ডয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অপারেশন ফাইটার পাইলট তৈরি করেছে। যা আগামীতে বাংলাদেশের আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো সুদৃঢ় করবে।
এ ছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ বিতরণসহ জাতিসংঘের শান্তি মিশনে কর্মরত ছয়টি কন্টিনেন্টে সফলভাবে লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে আসছে।
বিমানবাহিনীর সবাইকে দক্ষ ও আদর্শ বিমানসেনা হিসেবে গড়ে উঠতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিদেশের মাটিতেও তারা যতœবান থাকবেন বলে আশা করি। বাংলাদেশে বিমানবাহিনীর শিক্ষানবীশ কর্মকর্তাদের জন্য উন্নতর প্রশিক্ষণের জন্য বিমানবাহিনী একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রীন বলেন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী দেশের জন্য অনেক সাফল্য বয়ে আনবে। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পুরণে সক্ষম হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আরো সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।