অনলাইন নিউজপোর্টাল অর্থসূচক ৩ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে। অর্থসূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম সাজেদুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মো. সাইফুর রহমান মজুমদার, ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী পুঁজি বাজার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য মেলায় আয়োজন করায় অর্থসূচককে ধন্যবাদ জানান। মেলা উপলক্ষে ব্রোকার হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, এসেস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সী, তালিকাভূক্তি কোম্পানীসহ পুঁজি বাজারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এক ছাদের নিচে সমবেত হয়েছে।মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উম্মুক্ত থাকবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পুঁজি বাজার স্থিতিশীল।ভাল অবস্থায় আছে।তবে ২০১০ সালের ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্খিত। সে সময় অনেক বিনিয়োগকারী অর্থ হারিয়েছেন। ওইসময় মার্চেন্ট ব্যাংক ও বিনিয়োগকারীসহ সবাইকে আরো বেশি সতর্ক থাকার দরকার ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীকে আস্থা অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন বাজার স্থিতিশীল। লেনদেন বেশি হচ্ছে। প্রতিদিন লেনদেন বাড়ছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তবে বাজার সম্পর্কে বিনিয়োগকারীকে আরো সচেতন হতে হবে। কারণ, অল্প মুনাফা ভালো।আর বেশি মুনাফা ধ্বংস করে। তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় পুঁজি বাজারে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ (এক্সপোজার) সমস্যার সমাধান হয়েছে।আগামীতে এ স্থিতিশীল অবস্থা যেকোনো মুল্যে ধরে রাখতে সরকারের সব ধরনের প্রচেস্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। পুঁজি বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির উদ্দেশ্য তিনি বলেন, বাজারের এই অবস্থা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পুঁজি বাজারকে স্থিতিশীল রেখেই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।