আজ রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। বিচারক আগামী ৪ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
ওই আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল জানান, এ মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ৪ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনকালে কারাগারে বন্দি এবং জামিনে থাকা ৪ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
আসামিরা হলেন- মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানী, সাইফুল ইসলাম ওরফে বাবু ওরফে নাইম, আবু হানিফ, আলী আহাদ, জাহিদুর রহমান, কাজী রেজোয়ান, কাজী নাইমুল হাসান, জুম্মন, পিয়াস ওরফে আব্দুল্লা ওরফে আসাদুল্লাহ ও আমিনুল ইসলাম।
এদের মধ্যে প্রথম ৩ জন কারাগারে, আলী আহাদ জামিনে এবং বাকি ৬ জন পলাতক।
গত ৮ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। ওই দিন আদালত পলাতক ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনা থেকে জসিম উদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
জঙ্গি তৎপরতা, সরকার ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জসিম উদ্দিন রাহমানীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের আগস্টে মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নিবারন চন্দ্র বর্মন। পরে তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবির পরিদর্শক মো. আবদুল লতিফ শেখ।
২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে সরকারের অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়। তবে সরকারের অনুমতি না আসায় দীর্ঘদিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। এ বছরের ২৬ জুলাই সরকারের অনুমোদনের পর গত ৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত।
ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় জসিম উদ্দিন রাহমানীকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।