৫ দফা দাবি হলো- দিয়াজ হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে দ্রুত অপসারণ ও চাকরিচ্যুত করতে হবে, এই হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, দিয়াজ হত্যা মামলার সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে, আগের ময়নাতদন্ত বাতিল করে আবারও ময়নাতদন্ত করতে হবে, শিক্ষায় সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
দিয়াজ ইরফানের অনুসারী ও চবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন কান্তি চৌধুরী বলেন, ৫ দফা দাবিতে অবরোধের ডাক দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছি।
এদিকে রবিবার সকালে ট্রেনের হোস পাইপ কেটে শাটল ট্রেন অবরোধ করা হয়েছে। ফলে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায়নি।
ষোলোশহর স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, আজ সকাল থেকে অবরোধকারীরা শাটল ট্রেনটি অবরোধ করে রেখেছেন। এ কারণে তা বন্ধ আছে। কখন চলবে, তা বলা যাচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ কামরুল হুদা বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসব। দিয়াজের ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরাও চাই, দিয়াজের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত হোক।
গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর সড়কে অবস্থিত নিজ বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন দিয়াজের মা।
এদিকে দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন মর্মে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ। হাসপাতালের ৩ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এ প্রতিবেদন দেয়