বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। বাংলা সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য তার অবদান ভুলবার নয় । বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম থেকে শুরু করে বালাদেশের বাউল শিল্পীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাউল গানকে ছড়িয়ে দিয়েছেন পুরো ব্রিটেনে।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। তাকে একনজর দেখতে ছুটে যান বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কায়সার, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব এন আই খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম,দৈনিক ডেসটিনির কো-অর্ডিনেটর ও বিশেষ প্রতিনিধি খাজা খন্দকারসহ রাজনীতি ও মিডিয়া অঙ্গনের অনেকেই।তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ, দৈনিক ডেসটিনি,বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন শোক প্রকাশ করেছে।
মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি ব্রিটেনে কমিউনিটি নেতা নির্বাচিত হন। গ্রেট ব্রিটেনে সপরিবারে বাস করলেও সর্বদা তার মন পড়ে থাকত বাংলাদেশে। মাসের বেশির ভাগ সময়ই বাংলাদেশে থাকতেন। গত ১৮ নভেম্বর তিনি বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশে আসেন।
আগামী ৮ ডিসেম্বর তার যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। স্ত্রী সন্তান যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে এলেই বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তার নামাজে জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।