অগ্রসর রিপোর্ট : ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া মৎসসহ সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞ দিয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে শ্রীলংকার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত এইচ ই যশোজা গুণাসেকেরা আজ সংসদ ভবনে ডেপুটি স্পিকারের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আহবান জানান। সাক্ষাতকালে তারা দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় ডেপুটি স্পিকিার বলেন, বাংলাদেশে এখন বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে। সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ছাড়াও অন্যান্য সমুদ্র সম্পদে ভরপুর বাংলাদেশ। এ সম্পদ সঠিকভাবে অহোরণ করতে পারলে বাংলাদেশে শক্তিশালী ব্লু ইকোনোমি জোন গড়ে উঠবে এবং জাতীয় অর্থনীতি আরো বেগবান হবে হবে। হাইকমিশনার ডেপুটি স্পিকাররে বক্তব্যকে স্বাগত জানান।
সাক্ষাতকালে হাইকমিশনার শ্রীলংকা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশ পার্লামেন্টকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান। চলতি বছরের জুনে শ্রীলংকা পার্লামেন্টের স্পিকারের বাংলাদেশ সফরকালে এ ধরণের একটি পার্লামেন্টারি গ্রুপ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন শ্রীলংকার স্পিকার। স্পিকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী সে দেশের হাইকমিশনার ডেপুটি স্পিকারের সাথে সাক্ষাত করেন এবং শ্রীলংকা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারী গ্রুপ গঠনের অনুরোধ জানান।
ডেপুটি স্পিকার হাইকমিশনারের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ ধরণের একটি সংসদীয় গ্রুপ প্রতিষ্ঠা হলে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি আরো মজবুত হবে এবং সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডেপুটি স্পিকার এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকারকে অবহিত করবেন বলে হাই কমিশনারকে জানান এবং সংসদীয় গ্রুপ গঠনে তার তরফ থেকে সবধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন,বাংলাদেশে বর্তমানে কোয়ালিটি সম্পন্ন বিশ্বমানের ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের প্রোডাক্টস শ্রীলংকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। এসময় বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্টস আরো বেশি আমদানি করতে শ্রীলংকা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ডেপুটি স্পিকার।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।