যুদ্ধকালীন যৌন অপরাধ এবং লিঙ্গভিত্তিক অপরাধ প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরে শাহরিয়ার আলম বলেন, এ ধরনের অপরাধকারীদের বিচারের সম্মুখীন করা, যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশ তার অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সর্বদা প্রস্তুত। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নিগৃহীত এবং অত্যাচারিত নারীদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
শাহরিয়ার আলম আন্তর্জাতিক আদালতের ‘ট্রাস্ট ফান্ড ফর ভিকটিমস’ এ বাংলাদেশের অবদানের কথা উল্লেখ করে অধিবেশনকে অবহিত করেন যে, পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অপরাধের শিকার জনগোষ্ঠীর জীবনমানের পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ‘দ্য হেগ ওয়ার্কিং গ্রুপ ফেসিলিটেটর ফর ভিকটিমস’-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। তিনি আইসিসি’র সদর দপ্তরে ভৌগলিক এবং লিঙ্গ ভিত্তিক সমতা নিশ্চিতকরণেরও আহ্বান জানান এবং স্বল্পোন্নত দেশসমূহ থেকে ইন্টার্নশীপ ও পেশাগত প্রোগ্রামে আগতদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ও সহায়তা প্রদানেরও আহ্বান জানান।
অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আইসিসির প্রেসিডেন্ট, সাধারণ অধিবেশনের সভাপতি এবং আইসিসির প্রসিকিউটরের সাথে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি আইসিসির প্রসিকিউটরের শিশুদের জন্য পলিসি পেপার-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনেও যোগ দেন এবং শিশুদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধ প্রতিরোধে ও শিশুদের মঙ্গলার্থে আইসিসি’র কৌশলগত ফ্রেমওয়ার্কের পূর্ণ প্রয়োগ নিশ্চিতের আহ্বান জানান।