পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মারাক্কেশ সম্মেলনে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারের গৃহিত উদ্যোগ ও গৃহিত ব্যবস্থা তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বের ৫৬টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ ‘কপ-২২’ সম্মেলনে যোগদান করবেন। মরক্কোর বাদশাহ ৬ষ্ঠ মোহাম্মদের বিশেষ আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনে যোগদান করবেন। সফরসূচি অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-১০১৯) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে সোমবার সকাল ১০টায় মরক্কোর সাবেক রাজকীয় শহর মারাক্কেশের উদ্দেশ্যে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রমুখ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি ওইদিন স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টায় মারাক্কেশের মেনারা বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল লা মামৌনিয়াতে নেয়া হবে। এ সফরকালে তিনি এ হোটেলেই অবস্থান করবেন।
তিনি মঙ্গলবার মারাক্কেশের বাব ইগলী হলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কপ-২২’র উচ্চ পর্যায়ের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। এর আগে মরক্কোর বাদশাহ ৬ষ্ঠ মোহাম্মেদ, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন ও ইউনিসেফের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী পেট্রিসিয়া এসপাইনোসা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের অভ্যর্থনা জানাবেন। বিকেলে কপ-২২’র যৌথ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ৪৯তম বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করবেন।
শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন এবং এই বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ও সমন্বিত প্রয়াস এগিয়ে নিতে এক প্রচারাভিযান জোরদার করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানাবেন। একইদিন অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরক্কোর বাদশাহ ৬ষ্ঠ মোহাম্মদের দেয়া ভোজসভায় যোগ দেবেন। তিনদিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ১৬ নভেম্বর দেশে ফিরবেন।
এ বছর ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কপ-২১ ’এ গৃহীত ঐতিহাসিক চুক্তির পর এটাই হচ্ছে প্রথম বড় ধরনের কোন সম্মেলন। গত বছর ডিসেম্বরে প্যারিসে কপ-২১ ’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গ্রীণ হাউজ গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাসে ১৯৯৪ সালে জলবায়ু সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন শুরু হয়। এই কনভেনশনের সর্বোচ্চ পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে কপ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।