তিনি বলেন, এমন একটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে গেলে অবশ্যই প্রজাতন্ত্রের কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ তাদের মাধ্যমেই এসব সেবা পাবে জনগণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রণয়নে কোরিয়া সরকারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। তাই যৌথভাবে এমন আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের প্রথম ডিজিটাল দ্বীপ হিসেবে কোরিয়া সরকারের সহায়তায় মহেশখালীকে গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি দেশের প্রথম কোনো দ্বীপ যেখান থেকে প্রযুক্তির দক্ষযজ্ঞ সম্পন্ন হবে। এটি অন্যান্য দেশের কাছে রোল মডেল হবে বলেও জানান তিনি। দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে সম্মিলিত সুপারিশগুলো যাচাই-বাছাই করবে সরকারের সংশ্লিষ্টরা। পরে সেগুলো ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যানে যুক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন ও দেশে একটি জবাবাদিহিতামূলক ই-গভর্নমেন্ট বাস্তবায়নে কোরিয়ান সরকারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তাবায়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চায় সরকার। এজন্য দেশীয় আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় এনে এই ই-গভর্নমেন্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন করতে সরকার ন্যাশনাল আর্কিটেকচার ফ্রেম ওয়ার্কের অধীনে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও ৬৮টি অধিদপ্তর ও সংস্থা একযোগে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন কোয়াক স্যাম-জু, কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির কান্ট্রি ম্যানেজার জো ইয়ংগুয়ে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ, প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ এনামুল কবিরসহ আরও অনেকে।