চির হাস্যোজ্জল এম আর খান কর্মজীবনে শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, মিরপুরের ইন্সটিটিউট অব চাইল্ড হেলথ এন্ড হসপিটাল, সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল যশোর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা প্রদানসহ জাতীয়ভিত্তিক বহু প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সাথে জড়িত ছিলেন। শিশু চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি যেমন একুশে পদক পেয়েছেন তেমনি স্বাধীনতা পদকেও ভূষিত হয়েছেন। গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে স্বাধীনতা পদক তুলে দেন।
ডা. এম আর খান বাংলাদেশের শিশুচিকিৎসার পথিকৃৎ। তার জন্ম ১৯২৮ সালের ১ আগস্ট সাতক্ষীরার রসুলপুরে। ১৯৫৩ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি এমবিবিএস পাস করেন। এর পর তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিটিএমঅ্যান্ডএইচ, এমআরসিপি, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিসিএইচ, ঢাকার পিজি থেকে এফসিপিএস, ইংল্যান্ড থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন। প্রতিষ্ঠানতুল্য এ মানুষটির জীবনী স্থান পেয়েছে কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল ‘হু ইজ হু অব ইন্টেলেকচুয়াল’-এ। অর্জন করেছেন আন্তর্জাতিক ম্যানিলা এওয়ার্ড, একুশে পদকসহ আরও অনেক পুরস্কার। তাকে বলা হয়, ফাদার অব পেডিয়াট্রিশিয়ান এন্ড ইন্সটিটিউশন।
নিজের পেনশনের টাকা দিয়ে গড়ে তুলেছেন ডা. এম আর খান-আনোয়ারা ট্রাস্ট। দুস্থ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, তাদের আর্থিক-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এ ট্রাস্টের মাধ্যমে তিনি নিরন্তর কাজ করেছেন। তার উদ্যোগে গড়ে উঠেছে জাতীয় পর্যায়ের শিশুস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠা করেছেন শিশুস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
শিশুদের পরম বন্ধু হিসেবে খ্যাত এম আরজ খান আরও গড়ে তুলেছেন সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল, যশোর শিশু হাসপাতাল, সাতক্ষীরা ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার, রসুলপুর উচ্চবিদ্যালয়, উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতাল, নিবেদিতা নার্সিং হোমসহ আরও বহু প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও তিনি দেশ থেকে পোলিও দূর করতে উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন, কাজ করেছেন ধূমপানবিরোধী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠান আধূনিক-এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।