ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম আজ বৃহস্পতিবার আসামি মাহফুজুর রশীদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে শুনানির দিন ঠিক করে দেন।
আগামী ১৫ নভেম্বর এ মামলায় স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন রাখা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আলী আকবর জানান।
যৌন হয়রানির এ মামলায় গ্রেফতার ফেরদৌসকে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য এদিন আদালতে হাজির করা হয়। বিচারকের প্রশ্নের জবাবে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার চান।
তড়িৎ কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফেরদৌস আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ছাত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ৩০ এপ্রিল তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর ৪ মে কলাবাগান থানায় যৌন হয়রানির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদদৌল্লাহ আল সায়েম।
মামলার পর ওইদিন ভোরেই রমনা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে শিক্ষক ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পরে দুই দিনের রিমান্ড শেষে তিনি যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রীও গত ৫ মে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের এসআই আফরোজা আইরীন কলি গত ১৪ শিক্ষক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আলাদাভাবে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ২৮ জনকে সাক্ষী করেন তিনি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অন্য অভিযোগপত্রটিও এরই মধ্েয আমলে নিয়েছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ওই মামলায় ১৭ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ওই মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, শিক্ষক ফেরদৌস বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং প্রশ্নপত্র ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এক ছাত্রীর সরলতার সুযোগে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন এবং তার ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন।