গত ১৯ অক্টোবর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন বিচারক। এর আগে গত ১০ আগস্ট দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
এ মামলায় দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, অতিরিক্ত সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ থেকে আদালত সাংসদ বদিকে খালাস দিয়েছে। সাজার রায় এসেছে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়।
অন্যদিকে বদির আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা বলেছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা।
গত ২৯ জুন শুনানিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন আবদুর রহমান বদি। ওই দিন তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে একটি লিখিত বক্তব্য আদালতে দাখিল করেন। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আবদুর রহমান বদি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কমমূল্যে সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে এক কোটি ৯৮ লাখ তিন হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখিয়েছেন। এসব অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. আবদুস সোবহান রমনা থানায় ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট মামলা করেন।
এ ঘটনায় গত বছরের ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোরশেদ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ছয় কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বলা হয়েছে, তিনি দুদকের কাছে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলাটিতে বদি ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর এমপি বদিকে ছয় মাসের জামিন দেন বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।