বিজিবি গত ১০ মাসে ৫৬টি পিস্তল, ৩৭টি বিভিন্ন প্রকারের বন্দুক, ৪ হাজার ৭ রাউন্ড গোলাবারুদ, ৫৮টি ম্যাগাজিন, ৭টি ইলেকট্রনিক ডেটনেটর এবং ৫৫২ কেজি ৭শ’ গ্রাম গান পাউডার উদ্ধার করেছে। গত ১০ মাসে বিজিবি’র অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ হাজার ৪৬৮ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১ হাজার ৪১২ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ৩ হাজার ৩৯৬ জন মায়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে। এছাড়া গতমাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮৫ কোটি ১৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকার চোরাচালান ও মাদক দ্রব্য আটক করেছে।
আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ১০ লাখ ১১ হাজার ৭৫৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২৯ হাজার ৬৪১ বোতল ফেনসিডিল, ১ হাজার ৪১৫ কেজি গাঁজা, ২০ হাজার ৮৮৭ বোতল বিদেশী মদ, ৭৫ গ্রাম হেরোইন এবং ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৪৭ পিস বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট। আটককৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৬ হাজার ৬৫২টি শাড়ি, ২ হাজার ৯৮৯টি থ্রিপিস ও শার্টপিস, ৪ হাজার ৫২ মিটার থান কাপড়, ১ লাখ ৫২ হাজার ৬১৫টি তৈরী পোশাক, ৫ হাজার ৫৭৯ সিএফটি কাঠ, এবং ৪টি তক্ষক।
অক্টোবর মাসে বিজিবির অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ৪টি বিভিন্ন প্রকারের বন্দুক এবং ১৮ রাউন্ড গুলি। গত অক্টোবর মাসে বিজিবি’র অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮০ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২৮৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৬ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করে বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তর এবং বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ২৪৬ জন মায়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।