জলদস্যুরা হলেন সাগর বাহিনীর প্রধান আলমগীর শেখ ওরফে সাগর, কামরুল ফকির, আ. মালেক, আ. কাদের শেখ, হাফিজুর রহমান শেখ, কবির সরদার, দেলোয়ার শেখ, হাসান সরদার, নান্না ফকির, তোহিদুল ইসলাম, রাজু শেখ, লিটন হাওলাদার, তারিকুল গাজী। তাদের বাড়ি বাগেরহাট ও মোড়লগঞ্জ উপজেলায়।
আত্মসমর্পণকালে দস্যুরা ৮টি বিদেশি একনলা বন্দুক, ৩টি দেশীয় একনলা বন্দুক, একটি বিদেশি দোনালা বন্দুক, ২টি পয়েন্ট টুটুবোর এয়ার রাইফেল, চারটি এলজি এবং দুটি কাটারাইফেল ও ৫৯৬ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেন।
র্যাব-৮-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইফতেখারুল মাবুদ বলেন, গত ৩১ মে সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় দস্যু দল মাস্টার বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুন্দরবনের অন্য দস্যু বাহিনীগুলোকে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইলে সরকার তাদের সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দেন। এরই ধারাবাহিকতায় জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করতে উদ্যোগী হয়।
এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ হেলিকপ্টার যোগে বরগুনা আসেন।