সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত বিশ্বের ৭০টি দেশে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্েয ১৯টি দেশ এশিয়া-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের।
ফিলিপাইনের ম্যানিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক সভায় এর মহাপরিচালক মার্গারেট চান বলেছেন, বিজ্ঞানীরা এখনো এই ভাইরাসকে ঠেকানোর পথ খুঁজছেন।
এমনিতে জিকা ভাইরাস প্রাণঘাতী না হলেও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এর ফল হতে পারে মারাত্মক। তার শিশুর জন্ম হতে পারে অপুষ্ট মস্তিষ্ক বা বড় ধরনের ত্রুটি নিয়ে।
গত বছর ব্রাজিল ও আশেপাশের দেশগুলোতে জিকার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর এ বছর ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জিকার কারণে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।
গত মার্চে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রামের এক ব্যক্তির রক্তের পুরনো নমুনায় জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব পেয়েছে জাতীয় রোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইইডিসিআর। তবে জিকার বিষয়টি জানার আগেই তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে সিঙ্গাপুরে প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জিকার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্তদের মধ্েয ১৯ জন বাংলাদেশিও ছিলেন। তাদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কর্মস্থলে ফিরে গেছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে বলেন, এই মুহূর্তে দেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী না থাকলেও আশপাশের বিভিন্ন দেশে মশাবাহিত এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশেও ঝুঁকির মধ্েয রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ভাইরাস ঠেকাতে হলে মশা নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে। আর এ কাজটি করতে হবে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে; কারণ এডিস মশা ঘরের মধ্যে ফুলদানি বা পাত্রে জমানো পরিষ্কার পানিতে বংশবিস্তার করে।