অগ্রসর রিপোর্টঃ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট নাশকতা ও জঙ্গিবাদের মদদদাতা। বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদ সৃষ্টির মূল পরিকল্পনাকারী। তাই তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবার কোন অধিকার থাকতে পারে না।
বৃহস্পতিবার দিনাজপুর শহরের ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণ মাঠে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আজিজুল ইমাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, সাম্যবাধী দলের সাধারন সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, জাতীয় পার্টি (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, শিবলী সাদিক এমপি, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এদেশের নাশকতা সৃষ্টিকারী ও জঙ্গী নেত্রী। তার রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার কোন অধিকার থাকতে পারেনা।জঙ্গীবাদের কারণে দেশের মানুষ তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এই অগ্রযাত্রা ও ব্যাপক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে খালেদা জিয়া দেশী-বিদেশী দালালদের নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তার এই ষড়যন্ত্র ১৪ দলের নেতাকর্মীরা দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, দেশের মানুষকে জিম্মি ও ধর্মের নামে ইসলামী জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে একের পর এক দেশী-বিদেশী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে হত্যা ও অপহরণ করছে। তার লেলিয়ে দেয়া জঙ্গীদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চিহ্নিত করেছে। একের পর এক জঙ্গীরা আটক হচ্ছে এবং তাদের পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। জনগণ জেনে গেছে, বিএনপি-জামায়াতেরাই এই জঙ্গীবাদের সাথে জড়িত। এখন খালেদা জিয়া ঐক্যের ডাক দিচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সাথে নিয়ে জঙ্গীবাদ নির্মুল করতে জঙ্গীবাদ বিরোধী কমিটি পাড়া-মহল্লায় গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে। এই কমিটিতে কোন বিএনপি-জামায়াত ও দেশদ্রোহী সদস্য হতে পারবে না। কমিটিতে দেশ প্রেমী মানুষ, পেশাজীবী, শ্রমজীবী মসজিদের ইমাম, মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন নাগরিকরা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তাদের নেতৃত্বেই গঠিত সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি পাড়া-মহল্লায় জঙ্গীবাদের চিহ্নিত করে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশে নতুন করে ধর্মের নামে সম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের নামে খালেদা জিয়া খুন খারাবী চালাচ্ছেন। যে দলের সৃষ্টি হয়েছে সন্ত্রাসের মাধ্যমে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছাড়া আর কিছুই বোঝে না।
এর আগে দুপুর ২টা থেকে দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক ১৪ দলের নেতাকর্মী বিভিন্ন যানবাহন যোগে ও পায়ে হেটে ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী শ্লোগান দিয়ে সমাবেশে আসতে থাকে। দুপুর ৩টার মধ্যে শহরের ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণ ও পাশ্ববর্তী লোকভবন এবং রাস্তায় কানায়-কানায় লোকজন ভরে যায়। ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে মহাসমাবেশ মুখরিত করে রাখে।
এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ কামরুল আহসান এবং হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার, চিকিৎসকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।