অগ্রসর রিপোর্টঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিব্লেট আজ বিকেলে এখানে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বাসসকে জানান, রাষ্ট্রপতি এ সময় হাইকশিনারকে স্বাগত জানান এবং অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপতি দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বহু বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে। তিনি এই ধরনের সুযোগ সুবিধা আরো সম্প্রসারণের পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য হাইকমিশনারের প্রতি আহ্বান জানান।
জুলিয়া নিব্লেট বলেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারের লক্ষ্যে কাজ করবেন। তিনি বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
পরে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনম তোবদেন রাবগাই বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভুটান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দু’দেশের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে জোরদার হচ্ছে।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে আগ্রহী। তিনি বিবিআইএন কাঠামোর আওতায় দরজিলুং (১১২৫ মেগাওয়াট) জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অধীনে ত্রিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে বিবেচনায় নেয়ার জন্য ভুটানের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, প্রকল্পের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে এবং ভুটান ভবিষ্যতে অন্যান্য জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেও বাংলাদেশকে অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করবে।
গত মাসে ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরের উল্লেখ করে ভুটানের রাষ্ট্রদূত বলেন, এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারের লক্ষ্যে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, দুটি দেশের দূতরা বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল তাদেরকে পৃথকভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।