নিজস্ব সংবাদদাতা- সরকারের প্রতিশ্রুত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ ফোরাম হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী কক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উন্নয়ন-সংক্রান্ত সর্বোচ্চ এ নীতিনির্ধারণী পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে আরো সাবলীল, সমৃদ্ধ ও ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে এ সভায় বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। ১২ আগস্ট এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা এগিয়ে আনা হয়েছে। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্স’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ নামকরণ করা হয়। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে টাস্কফোর্সকে সহায়তা করতে গঠিত নির্বাহী কমিটিরও নাম পরিবর্তন করা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালের আগস্টে। বৈঠকে আলাদা আইসিটি মন্ত্রণালয় গঠন, ব্যান্ডউইডথের দাম কমিয়ে আনা, কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন, বিদ্যালয়গুলোয় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনসহ আরো বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এবারের সভার আলোচ্যসূচি হিসেবে ১২টি বিষয় নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে— ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-এর প্রথম সভার কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ, প্রথম সভার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, আইসিটি বিভাগের অগ্রগতি উপস্থাপন, ডিজিটাল গভর্নমেন্ট বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তর কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সাইবার সিকিউরিটি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, হাই-টেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন সম্পর্কিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ অন্যান্য বিষয়।
এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স একটি জাতীয় কমিটি। প্রধানমন্ত্রী এর সভাপতি। এ কমিটির উদ্দেশ্য দেশের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধীনস্থ দফতর বা সংস্থায় আইসিটি খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান। ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সদস্য সংখ্যা ২৩। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ টাস্কফোর্সের সদস্য। তবে এরই মধ্যে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আলাদা করে দুটি মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়েছে।