অগ্রসর রিপোর্টঃ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, ভবিষ্যতে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে জ্বালানি সংক্রান্ত মৌলিক গবেষণা এবং প্রায়োগিক ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বিকল্প নেই।
জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। আগামীকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয়ভাবে এ দিবস পালিত হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেছিলেন। এ লক্ষ্যে তিনি শেল অয়েল কোম্পানির কাছ থেকে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট ৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড স্টার্লিং মূল্যে দেশের ৫টি গ্যাসক্ষেত্র ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাভুক্ত করেন।
তিনি বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক পদক্ষেপকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতিবছর ৯ আগস্ট জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস পালন করা হয়। জাতির পিতার সময়োচিত এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় চার যুগ ধরে গ্যাস ক্ষেত্রগুলো শুধু জ্বালানি সরবরাহ করেনি, দেশের ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনের ক্ষেত্রেও বিশেষ অবদান রাখছে।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কৌশলগত ও রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতেই আজ জাতি স্বল্পমূল্যে দেশীয় গ্যাস ব্যবহার করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার এ অবিস্মরণীয় অবদানকে আমি বিনম্র চিত্তে স্মরণ করছি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকার প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার পরিকল্পিত অনুসন্ধান, উত্তোলন ও উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকল্পে পর্যায়ক্রমে নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ও সুষ্ঠু ব্যবহার এবং অপচয় রোধ নিশ্চিত করা অপরিহার্য। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে মূল্যবান এ সম্পদের অপচয় রোধে সকলকে আরো যতœবান হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০১৬ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস-২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।