সেশন জট নিরসনে ২০০৯-১০ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের অনার্স, ডিগ্রি ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
সেশন জট নিরসনে চালু করা ক্রাশ প্রোগ্রামের আলোকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারটি তৈরি করা হয়েছে।
ক্রাশ প্রোগ্রাম কিঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেশন জট নিরসনে দ্রুত ফরম পূরণ, পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের যে উদ্যোগ নিয়েছে সে উদ্যোগ এর নাম দেওয়া হয়েছে ক্রাশ প্রোগ্রাম। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি থাকছে ক্রাশ প্রোগ্রামে…..
ক্রাশ প্রোগ্রামে যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবেঃ
- সকালে ক্লাস ও বিকেলে পরীক্ষা গ্রহণ করে ৯ মাস শিক্ষাবর্ষ ধরে সর্বোচ্চ ৩ মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। এতে ছাত্রসংখ্যার দিক থেকে সব চেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮ সালের মধ্যে পুরোপুরি সেশনজট মুক্ত হবে।
- সর্বোচ্চ ৩ মাসের মধ্যে যেকোনো পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। নতুন পরীক্ষা পরিচালনা ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন পদ্ধতি, ডাকযোগের স্থলে আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ পুরোপুরি সক্রিয় করে পরীক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
- ওএমআর পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি হাজিরা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন শেষে পরীক্ষকগণ একটি বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে নম্বর কেন্দ্রীয় সার্ভারে পাঠাবেন। এতে পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা ও ফল প্রকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে।
- ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক এবং পাস কোর্সের শিক্ষার্থীরা যাতে যথাক্রমে ৩ ও ৪ বছরের মধ্যে পাস করে বের হতে পারে সেজন্য একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে।
- স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির ক্লাসের সময়সীমা ৪৫ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট করা হবে। সকালে পাঠদান ও বিকেলে পরীক্ষা গ্রহণ ছাড়াও ক্ষেত্র বিশেষে শুক্রবার পরীক্ষা নেওয়া হবে।
- ক্রাশ প্রোগ্রামে স্নাতকে ২১০ দিন ক্লাস, ফরম পূরণে ১৫ দিন, পরীক্ষা ৫৫ দিন, ফল ৯০ দিন এবং প্রতি ক্লাস ৬০ মিনিট নেওয়া হবে। পূর্বে যা ছিল ২৪০ দিন, ৩০ দিন, ৭৫ দিন, ১২০ দিন ও প্রতি ক্লাস ৪৫ মিনিট। মাস্টার্সে এভাবে সময় কমিয়ে আনা হবে। এতে ২০১৭ সালের মধ্যে পুরাতন সকল বর্ষের শিক্ষার্থীরা সেশনজটমুক্ত হতে পারবে। আর ২০১৮ সালের মধ্যে পুরোপুরি সেশনজটমুক্ত হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।