আচার্য্য দীনেশ চন্দ্র সেন স্বর্ণপদক পেলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। ১ আগস্ট সোমবার বিকেল ৫টায় কলকাতা প্রেসক্লাবে আচার্য্য দীনেশ চন্দ্র সেন জন্ম সার্ধশত বর্ষ উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে তার হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেয়া হয়।
আচার্য্য দীনেশ চন্দ্র সেন রিসার্স সোসাইটির সভাপতি স্বপন মুখোপাধ্যয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যয়, বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উইমেনস এর বাংলা বিভাগের প্রধান ড. অজান্তা মিত্র বিশ্বাস, ওয়েসি মেমোরিয়াল এসোসিয়েশরে সম্পাদক ড. হাজী শেখ আহমদ আলী, প্রাক্তন পুলিশ কর্তা অরিন্দম আচার্য্য, বলকাতাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মো. মাঈনুল কবীর ও প্রেস সেক্রেটারি মোফাখখারুল ইকবাল প্রমুখ। দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দীনেশ চন্দ্র সেন রিসার্স সোসাইটির সম্পাদিকা দেবকন্যা সেন।
অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদক গ্রহণকালে এই বিরল সম্মান প্রদানের জন্য ডেপুটি স্পিকার দীনেশ চন্দ্র সেন রিসার্স সোসাইটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কৃতি সাহিত্যিক দীনেশ চন্দ্র সেন বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার লেখনীতে বাংলার আবহমান সংস্কৃতির বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। বাংলা সাহিত্যের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য তার কর্মকে অনুশীল করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দুই বাংলার পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলা সাহিত্যের চর্চা ও গবেষণা বাড়ানোর প্রতি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভারতের সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারে। আগামীতে দুই বাংলা এ সকল বিষয়ে যৌথ উদ্যোগ নিবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির এক অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশ। তবে দেশী-বিদেশী একটি চক্র এই সম্প্রীতি নষ্ট করতে নানাভাবে কাজ করছে। তাদের চক্রান্তে দেশে জঙ্গী হামলার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু সরকার এসকল জঙ্গী সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে সফল হয়েছে। জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
জঙ্গী সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের পাশে থাকার ঘোষণায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বাংলাদেশর মাটি ব্যবহার করে ভারতে কেউ সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে পারবে না। ভারতের মাটিতেও যাতে কোন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার না ঘটে সেবিষয়েও বাংলাদেশ ভারতে সহযোগিতার জন্য শেখ হাসিনা সরকার প্রস্তুত আছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য তিনি বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।