তিনি বলেন, ‘প্রকৌশলীগণ উন্নয়নের কারিগর। তাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীল চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসে টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা। তাই প্রকৌশলীদের চিন্তা ও চেতনায় থাকবে দূরদৃষ্টির সুস্পষ্ট প্রতিফলন।’
পরিকল্পিত উপায়ে সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশ। এদেশের রয়েছে বিপুল মানব সম্পদ, উর্বর কৃষিভূমি এবং সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক সম্পদ। জনবহুল এ দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে প্রয়োজন পরিকল্পিত উপায়ে বিদ্যমান সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার।’
নবীন গ্রাজুয়েটদের দেশের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তোমাদের এ অর্জনে দেশের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। তোমরা তোমাদের সেবা, সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম দিয়ে এ সনদের মান সমুজ্জ্বল রাখবে। কর্মক্ষেত্রে তোমরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকনা কেন; মাতৃভূমি এবং এ দেশের জনগণের কথা কখনও ভুলবে না। অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত করবে না। তোমাদেরকে এ পর্যায়ে আসতে দেশবাসী যে সহায়তা করেছে তোমরা তোমাদের মেধা, মনন ও কর্মের মাধ্যমে তা পরিশোধ করবে।’
চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের সমাবর্তনে এক হাজার ৬০৩ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ডিগ্রি দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিন জনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। এছাড়া শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যের জন্য তিনজনকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, চুয়েটের উপাচার্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম।