স্টাফ রিপোর্টার: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বেতারের বিরামহীন সম্প্রচার মানুষকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেয়। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধেও বেতারের ছিল গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে বাংলাদেশ বেতারের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
বাণীতে তিনি বলেন, ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের জনগণের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রদান ও বিনোদনের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বাংলাদেশ বেতার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বছর বিশ্ব বেতার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগকালে ও জরুরি মুহূর্তে বেতার’ প্রাসঙ্গিক। শ্রোতাদের আরও কাছে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ বেতারের ‘শ্রোতা ক্লাব কার্যক্রম’ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রসারের ফলে সম্প্রচার জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিযোগিতাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। গ্রামগঞ্জ ও দুর্গম এলাকায় এখনও বেতার তথ্য আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, নতুন ও আকর্ষণীয় এবং সমসাময়িক বিষয়ের উপর অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতার এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। আমার প্রত্যাশা আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেতারের সক্ষমতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
তিনি ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০১৬’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।