স্টাফ রিপোর্টার: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তিন বিচারপতি আজ শপথগ্রহণ করেছেন। সুপ্রিমকোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তাদের শপথ পাঠ করান।
আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিরা হলেন মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি নিজামুল হক এবং বিচারপতি বজলুর রহমান।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে পৃথক পৃথকভাবে তিন বিচারপতির শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা । শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
এর আগে রোববার দুপুরের পরে সংবিধানের ৯৫(১) অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে তাদেরকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি তিন বিচারপতির নিয়োগ দেয়ার পর রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেন আইন মন্ত্রণালয়। এ তিনজনকে নিয়োগের পর আপিল বিভাগে মোট বিচারকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট নয়জন।
বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ১৯৫৪ সালের ০১ মার্চ জন্মগ্রহণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এলএলবি এবং এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৮১ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত এবং ২০০৩ সালের ০৩ জুলাই স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান মির্জা হোসেইন হায়দার।
বিচারপতি নিজামুল হক ১৯৫০ সালের ১৫ মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন। বিএসসি এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু দুই বছর পর তাকে আর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি। ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর এক বছর পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ তাকে মাবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর স্কাইপেতে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথপোকথন প্রকাশের পর তিনি পদত্যাগ করে আবার হাইকোর্টে ফিরে আসেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান ১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল বিচারপতি বজলুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৭ সাল হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০১ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু দুই বছর পর তাকে আর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এরপর ২০০৯ সালের ১০ মে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।