স্টাফ রিপোর্টার : পাকিস্তানকে দুর্বৃত্তের দেশ আখ্যায়িত করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, তাদের কাছে আমাদের যে হিসাব ও পাওনা আছে সেটা তারা স্বীকারই করে না।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, ‘আমাদের সম্পদ ফিরিয়ে দিতে যে মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন, সেই অবস্থা ওই দুর্বৃত্ত দেশের সম্ভব হবে কি না, তার ভবিষ্যত বলা কঠিন।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের কাছ থেকে মহাত্মা গান্ধি ভারতের প্রাপ্য সম্পদ আদায় করেছে। অনেকগুলো সম্পদ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যেও বিভাজিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যূদয় একেবারে অন্যভাবে হয়েছে। আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। যাদের সঙ্গে ২৩ বছর বসবাস করেছি তারা আমাদের সঙ্গে পৈশাচিক ব্যবহার করেছে। কোন মানবিক ভদ্রতা তাদের ছিল না।
তিনি বলেন, যখন পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথম কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় তখনই বাংলাদেশ সরকার এই হিসাবের ব্যাপারে কার্যক্রম শুরু করে। বঙ্গবন্ধু তাদের সামনে অভিযোগটি জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন। কিন্তু ভুট্টো সাহেব এ ব্যাপারে কোন জবাব দেননি। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সাথে আলোচনা করতে সম্মতি জ্ঞাপন করেননি। পরবর্তীকালে অবশ্য এসব আলোচনা কিছুটা হয়। এ ব্যাপারে অন্যান্য ইসলামিক দেশগুলো সহায়তা করে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, পাকিস্তান আজ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যে ক্লেইম আছে সেটা স্বীকার করেনি। এই হলো তাদের চরিত্র। সুতরাং এদের কাজ থেকে অর্থ আদায়ে আমরা সব সময় চেষ্টা করি। এ ব্যাপারে আমাদের বিভিন্ন প্রতিনিধিরতাদের সঙ্গে দেখা হলেই বিষয়টি উপস্থাপন করেন। তবে সব সরকারের সময় হয়নি। এটাও মনে রাখতে হবে। আবার বাংলাদেশের এমন সময়ও গেছে এই বিষয়টি আলোচনা থেকে তলিয়ে গেছে। আমরা সেটিকে আবার ফিরিয়ে আনছি।
তিনি বলেন, এটার ভবিষ্যত কী হবে সে সম্পর্কে কোন ভবিষ্যত বাণী করা যাবে না। এটার জন্য পাকিস্তানের মানসিক পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।