অগ্রসর রিপোর্ট : সামরিক আইন জারি ঘিরে সৃষ্ট কয়েকদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর অবশেষে অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। শনিবার দেশটির পার্লামেন্ট দ্বিতীয় দফার ভোটে অভিশংসিত হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৩০০ আসনের সংসদে ২০৪ জন আইনপ্রণেতা ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। গত সপ্তাহে প্রথম অভিশংসন থেকে বেঁচে যাওয়ার পর ইউনের বিরুদ্ধে ছয়টি বিরোধী দলের একটি জোটের আনা এটি ছিল দ্বিতীয় অভিশংসন প্রস্তাব।
এদিকে সংসদে অভিশংসিত হলেও জটিল আইনি প্রক্রিয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন ইউন। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনও নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে না তার।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানের অনুযায়ী: সাংবিধানিক আদালত ইউনের অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন।
পরর্বর্তীতে আদালত অভিশংসনের জন্য ঘটনাগুলোর পর্যালচনা করবে এবং ইউনকে অপসারণ করা উচিত কিনা সিদ্ধান্ত নেবে। এই বিচার প্রক্রিয়া ছয় মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে এবং আদালত যদি ইউনকে অভিশংসিত করার রায় দেয়, তাহলে রায়ের ৬০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।
অন্যদিকে, ইউন যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চান, তাহলেও আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি হয়। সেই সময় ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা তা বয়কট করায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
জাতীয় পরিষদের স্পিকার উ ওন-শিক ওইদিন জানিয়েছিলেন, অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৯৫টি। প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হওয়ায় প্রস্তাবটি পাস হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। তবে সাধারণ জনগণ ও বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে মাত্র ৬ ঘন্টার ব্যবধানে সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। এর ফলে ইউনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বড় সংকটের মুখে।