অগ্রসর রিপোর্ট: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ‘ডানা’ নামক সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির ২৫ অক্টোবর রাতের মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা অঞ্চলের ওপর আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, লঘুচাপটি ২২ থেকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, যার সম্ভাবনা ৯০ থেকে ১০০ ভাগ। উপকূলে আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এক পোস্টে জানান, ঘূর্ণিঝড়েরর প্রভাবে সাত থেকে আট ফুট জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি থেকে মানুষ ও ফসল রক্ষায় সরকারকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিত অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মধ্য বঙ্গোপসাগরে ২২ অক্টোবরের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে আজ শনিবার খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু্ই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, এখন পর্যন্ত যেটা দেখতে পাচ্ছি, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা বা পশ্চিমবঙ্গের দিকে আঘাত হানতে পারে। তবে গতিপথ পরিবর্তন করে বাংলাদেশেও আঘাত হানার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সব শেষ ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ বাংলাদেশ উপকূল ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে। এতে প্রাণ ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়।