অগ্রসর রিপোর্ট: গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরত হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া ৯২ হাজার মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আলজাজিরার।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় হাসপাতালে আনা হয়েছে এমন নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা ৪০ হাজার পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার শিশু এবং ৯ হাজার নারী রয়েছেন।
এছাড়া আহত হয়েছে ২০ হাজারের বেশি নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৯২ হাজার ৪০১ ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে প্রায় ১২ হাজারের বেশি মানুষের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অনেক ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলার কারণে অনেক জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো পৌঁছাতে না পারায় এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে মরদেহ রয়েছে বলেও জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
১০ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্তুচ্যুত এবং তাদের সকলেই খাদ্য নিরাপত্তাহীন। গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কমেছে প্রায় অর্ধেক।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।