অগ্রসর রিপোর্ট: সমন্বয়কদের জিম্মি করে নির্যাতনের মুখে যে বিবৃতি দেওয়ানো হয়েছে, সেটা কখনোই জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না মন্তব্য করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।
রবিবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুল কাদের বলেন, “আটককৃত সমন্বয়করা ভয়ভীতির মুখে গোয়েন্দা সংস্থার লিখে দেওয়া যে বক্তব্য কেবল রিডিং পড়ে গেছে, আমরা সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি এবং একইসঙ্গে জোরপূর্বক বক্তব্য আদায় করার মতো সরকারের এমন জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, পূর্বে উত্থাপিত ছাত্র হত্যার দায়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।”
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা কোনো প্রকার বিভ্রান্ত হবেন না। যে কোটার জন্য সরকার এতোগুলো মানুষকে হত্যা করেছে, সেই হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে মিন্টো রোডে ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কের কাছ থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে। সমন্বয়কদের নামে একটি যৌথ লিখিত বিবৃতি গণমাধ্যমে আসে, ওখানে ডিবি হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের, সারজিস আলম, নুসরাত তাবাসসুমের স্বাক্ষর দেখা গেছে।
এছাড়া রাতে প্রচারিত একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়। ওই ভিডিও বার্তায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডিবি কার্যালয়ে থাকা সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের পক্ষ থেকে আরেক সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ গণমাধ্যমকর্মীদের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে থেকে নাহিদ ইসলামের আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণাকে ‘জোরপূর্বক স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে সোমবার সারাদেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং প্রতিবাদ সমাবেশ ঘোষণা করেন তারা।