ভারতে গত শুক্রবার ইশতেহার প্রকাশ করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কংগ্রেসের ইশতেহার নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তুমুল সমালোচনা করেন প্রধান বিরোধী দলের ইশতেহারের। কংগ্রেসের ইশতেহারে মুসলিম লিগের ভাবনার ছাপ রয়েছে উল্লেখ করেন মোদি।
শনিবার উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে এক জনসভা ছিল মোদির। সেই জনসভায় মোদি বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মুসলিম লিগের যে ভাবনা ছিল, সেই রকমই ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে কংগ্রেসের ইশতেহারে। কংগ্রেসের ইশতেহারে সম্পূর্ণভাবে ছাপ রয়েছে মুসলিম লিগের চিন্তাধারার।’
সাহারানপুরের জনসভা থেকে কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদি বলেন, ‘কংগ্রেস যে ইশতেহার প্রকাশ করেছে তাতে এটাই প্রমাণ হয় বর্তমান ভারতের আশা-আকাঙ্ক্ষার কংগ্রেস সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মুসলিম লিগের ভাবনায় পুষ্ট কংগ্রেসের ইশতেহার।’
এছাড়া ইশতেহারে বামপন্থী ভাবধারার প্রভাব রয়েছে বলেও জানান মোদি। তিনি বলেন, ‘দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কংগ্রেসকে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না কংগ্রেস। এখন যে কংগ্রেস পড়ে রয়েছে, তার কাছে দেশের উপকারে কোনো নীতিও নেই, রাষ্ট্রনির্মাণের ভাবনা নেই।’
নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারতের আইন ও সংবিধানকে তছনছ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালাচ্ছে দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। ৪ জুনের পর কাউকে ছাড়া হবে না। রোববার পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে এক নির্বাচনি জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, বিজেপি সরকারের আমলে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন। ১০ বছরে যা উন্নয়ন করেছি, সেটা শুধু ট্রেলার। গরিবদের কল্যাণের জন্য মোদির যে প্রকল্প রয়েছে, তাতে ব্রেক লাগিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। ইডি যে ৩ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করেছে, তা ভুক্তভোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া যায় কি না, তার জন্য আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি।
অন্যদিকে পুরুলিয়ার হুড়ায় তৃণমূল আয়োজিত এক সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, মোদি এক স্বৈরাচারী, দানবীয় ও এক অত্যাচারী সরকার চালাচ্ছে। এখানে দলিতরা সম্মান পায় না। আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়। এনআইএ দিয়ে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে অত্যাচার চালাচ্ছে।