অগ্রসর প্রতিবেদক
স্বাস্থ্য মন্ত্রীর জিরো টলারেন্স তোয়াক্কা না করে চলছে সকল অপকর্ম। অভিযান চালিয়ে কিছু দালাল ধরা পড়লেও ধরা পড়ছে না মূল হোতা। অনর্গল চালিয়ে যাচ্ছে আইসিইউ, এনআইসিইউ, প্যাথলজি ও রক্ত বিজনেস। সেন্টিকেট গেটের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না সাধারণ রোগীরা, মেডিসিন চুরি টা যেন প্রতিদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা মিটানোর এক সহজ উপায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের ৮০২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সরকারি ঔষুধ বিক্রি করার অভিযোগে ওই ওয়ার্ডের নার্সের ইনচার্জ ফারজানা ও সহকারী ইনচার্জ জেসমিন আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে হাসপাতাল প্রশাসন। এ সময় তাদের কাছ থেকে মেরোপেনাম ইনজেকশন, মেট্রো ইঞ্জেকশন, ডিসটিল ওয়াটার, সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুরর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাদের দুজনকে আটক করে ইনজেকশনসহ হাসপাতালের পরিচালকের রুমে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৮০২ নং ওয়ার্ডের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি সরকারি ঔষধ কয়েকজন নার্সের সহযোগিতায় বিক্রি করা হচ্ছে। তখন আমাদের সন্দেহ হলে এক রোগীর প্লাস্টিকের বালতি চেক করে তাতে প্রায় ১২ হাজার টাকার বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারি ইনজেকশন পাওয়া যায়। ওই রোগীর স্বজন জানান ৮০২ নাম্বার ওয়ার্ডের নার্সের ইনচার্জ ফারজানা ও সহকারী ইনচার্জ জেসমিন আক্তার ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে রোগীর কাছে ওই ইনজেকশন গুলো বিক্রি করেন।
তারা আরো বলেন, পরে অভিযুক্ত দুই নার্সের ইনচার্জকে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে পরিচালকের রুমে নিয়ে যাই। পরিচালক মহোদয় অভিযুক্ত নার্সদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এটা স্যারই ভাল বলতে পারবেন। আমরা শুধু আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।
জানতে চাইলে হাসপাতালের নার্সের সেবা তত্ত্বাবধায়ক কারিমা খাতুন মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। যা জিজ্ঞেস করার পরিচালক কে জিজ্ঞেস করেন।
এ বিষয়ে খুদেবার্তায় পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
পরে জানা যায় অভিযুক্ত ওই দুই নার্সকে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে রেখে আসার কিছুক্ষণ পর তারা পরিচালকের কক্ষ থেকে বেরিয়ে ঢামেক হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক কারিমা খাতুনের রুমে গিয়ে মুচলেকা লিখে পরিচালকের কাছে দেন।