অগ্রসর রিপোর্ট: তুরস্ক বলেছে, তারা ৩৪ জনকে আটক করেছে যারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি এবং অপহরণের পরিকল্পনার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। খবর বিবিসির।
কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজধানী ইস্তাম্বুল এবং অন্যান্য এলাকায় ৫৭টি ঠিকানায় অভিযান চালানো হয়েছে এবং তারা এখনও আরও ১২ জন সন্দেহভাজনের সন্ধান করছেন। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন মোলে’।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক নাটকীয়ভাবে অবনতি হয়েছে।
এদিকে অপারেশন মোলের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া। তিনি বলেন, ইসরায়েলি গোয়েন্দারা আমাদের দেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে কৌশলগত কাজ যেমন নজরদারি করা, অনুসরণ করা, আক্রমণ এবং অপহরণের মতো কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিয়েছে।
যদিও তিনি হামাসের কোনও কথা উল্লেখ করেননি। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গত মাসে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, তুরস্কের মাটিতে হামাসের সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করলে ইসরায়েলকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিপরীতে, তুরস্ক হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে মনে করে না এবং বছরের পর বছর ধরে হামাসের নেতৃত্বের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছে আঙ্কারা। এছাড়া তুরস্কের মাটিতে হামাসের কিছু সদস্যকে আতিথ্যও দেওয়া হয়ে থাকে।
হামাস যোদ্ধাদের ‘স্বাধীনতাকামী’ হিসেবে উল্লেখ করে তারা তাদের ভূমি রক্ষা করছে বলেও বর্ণনা করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তারা যেখানেই থাকুক না কেন হামাস প্রধানদের টার্গেট করবে ইসরায়েল।
প্রসঙ্গত, মোসাদের এজেন্টদের লক্ষ্য করে তুরস্কে এই ধরনের অভিযান এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০২২ সালে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর সন্দেহে কয়েক ডজন লোককে তুরস্কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এছাড়া গত বছরের জুলাইয়ে তুরস্কের এমআইটি গোয়েন্দা সংস্থা সাত সন্দেহভাজনের নাম ঘোষণা করে জানায়, তারা মোসাদের হয়ে কাজ করার কথা স্বীকার করেছে।