অগ্রসর রিপোর্ট: ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় চালানো এ হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কিয়েভের কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী অন্তত ৮৭টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৭টি ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই প্রথম রুশ বাহিনী এত বড় মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে উল্লেখ করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানিয়েছেন, মোট ১৫৮টি টার্গেটে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া এবং এ অভিযানে প্রায় ১৮টি বোমারু বিমানও অংশ নিয়েছিল।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেন, শুক্রবারের হামলায় রাশিয়া স্পষ্টভাবে এই ইঙ্গিত দিলো, তারা মৌখিকভাবে শান্তির কথা বললেও আসলে তা চায় না।
তিনি আরও বলেন ‘আজ ভোরে ইউক্রেনের লাখ লাখ নাগরিকের ঘুম ভেঙেছে বিস্ফোরণের শব্দে। আমরা চাই, বিস্ফোরণের এই শব্দ যেন গোটা বিশ্ব শোনে।’
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া তার অস্ত্রাগারে থাকা প্রায় সব ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ১১০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং অজস্র ড্রোন ছোড়া হয়েছে পুরো ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে। তবে আমরা অধিকাংশই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি’।
এদিকে ইউক্রেনের প্রতিবেশি ও ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড বলেছে, শুক্রবার একটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র তার আকাশসীমায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছে।
কিন্তু পোলিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা রুশ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ওয়ারশ তার আকাশসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রবেশের কোনো প্রমাণ দেয়নি।