অগ্রসর রিপোর্ট : গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় মূল শহর খান ইউনিসে হামাসের সাথে ইসরায়েলি সেনাদের তুমুল লড়াই চলছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের দুমাস পরে চলমান ভয়াবহ সংঘাত সম্পর্কে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে ইসরাইলী সৈন্যরা বুলডোজার ও ট্যাংক নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনীরা সেখান থেকে নতুন করে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের অপর গ্রুপ ইসলামিক জিহাদ ও হামাস সূত্রে বলা হয়েছে, শহরের ভেতরে ইসরায়েলি সৈন্যকে ঢুকতে না দেয়ার জন্যে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে শহরের কেন্দ্রস্থলে অভিযান চালিয়েছে। তারা ৩০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের বাড়ির কাছে পৌঁছে গেছে।
তার এক মুখপাত্র বলেছেন, তার বাড়িটি খান ইউনিস এলাকার ভূগর্ভে রয়েছে।
এদিকে খান ইউনিসের এক বাসিন্দা অমল মাহদি বলেছেন, আমরা বিধ্বস্ত। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে একটি সমাধান পেতে আমাদের কাউকে দরকার।
গতরাতে অমল মাহদি ইসরায়েলি হামলা থেকে অল্পের জন্যে রক্ষা পেয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েল হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৪৮ ফিলিস্তিনী প্রাণ হারিয়েছে বলে হামাস সরকার জানিয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারনে আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ছে।
জাতিসংঘের এ সতর্কতার পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এলি কোহেন জাতিসংঘে গুতেরেসের বর্তমান কালকে বিশ^ শান্তির জন্যে বিপদ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে ইসরায়েলি আহ্বানের প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনীরা উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তাদের দক্ষিণের শহর খান ইউনিসও ছাড়তে হচ্ছে। তাদের নেই খাবার, নেই আশ্রয়। তারা বন্ধ থাকা রাফা সীমান্তের দিকে ছুটছে। তাদের তাড়া করে ফিরছে ইসরায়েলি বোমা।
ঘাসান বকর নামের এক ফিলিস্তিনী বলছেন, আমরা এখানে এসেছি। কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে। অথচ কোন আশ্রয় নেই, খাবার নেই। নেই রুটি, নেই আটা।