অগ্রসর রিপোর্ট: বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের (বিএসপি) উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে দৈনিক সকালের সময় কার্যালয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রস্তাব এনে বক্তারা বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই। জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, উন্নত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছেন; তা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণে দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকরা জননেত্রীর পাশে থেকে তাকে সহযোগিতা করতে পারেন। বিএসপির সদস্যরা পত্রিকার সংকট নিয়েও বিভিন্ন আলোচনা করেন। শেষে ‘দৈনিক সন্ধানী বার্তা’র প্রধান সম্পাদক ও দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ মো. শামসুল আলম খান মোনাজাত পরিচালনা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
সকালের সময় পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক ও বিএসপির সহাসচিব মোঃ নূর হাকিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দৈনিক অগ্রসর পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সংবাদপত্র ও সাংবাদিক-কর্মচারীর দুরবস্থা থাকবে- তা হতে পারে না। কেননা, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মিডিয়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সংবাদপত্র সংকটে থাকবে তা ভাবা যায় না। অনতিবিলম্বে ক্রোড়পত্রের বকেয়া বিল পরিশোধ ও সংবাদপত্র শিল্পের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তাকে সমর্থন করে আরও বক্তব্য রাখেন দৈনিক সরেজমিন বার্তার নির্বাহী সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন, দৈনিক নববাণী পত্রিকার সম্পাদক এ.এন.এম সলিমউল্লাহ সরকার, দৈনিক শেষকথা সম্পাদক মো. ইউনুস সোহাগ, দৈনিক প্রথম ডাক সম্পাদক এ কে এম গোলাম সরোয়ার, দৈনিক ডেল্টা টাইমস সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক পক্ষকাল সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, দৈনিক বাঙলার জাগরণ সম্পাদক মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, দৈনিক সময়ের চিত্র সম্পাদক এ আর এম মামুন, বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম (রাফি), দি কান্ট্রি টুডে সম্পাদক হেমায়েত হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিজ্ঞাপন বিল পরিশোধ, ক্রোড়পত্র সঠিকভাবে বণ্টন, কাগজ ও ছাপার উপকরণের মূল্য কমানো, বিজ্ঞাপন বিলের রেট বাড়ানো, সম্পাদক ও প্রকাশকদের আবাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।