অগ্রসর রিপোর্ট : ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর তেলঘাটে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস উদ্ধার করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া ওয়াটার বাসের ভেতরে কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। স্বজনদের দাবি, এখনও নিখোঁজ রয়েছে কয়েকজন।
সোমবার সকাল থেকে ডুবে যাওয়া নৌযানটি টেনে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সকাল ৮টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ওয়াটার বাসটিকে টেনে তোলে।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ‘আমাদের জাহাজ উদ্ধারের কাজ শেষ হয়েছে। যেহেতু নিখোঁজের দাবি এখনও আছে, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় আমাদের পেট্রোলিং ও অনুসন্ধান বজায় রাখবো।’
এই ঘটনায় বালুবাহী বাল্কহেডের ছয়জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। নৌ পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বাল্কহেডের সঙ্গে চালকসহ যারা ছিল তাদের সবাইকে আমরা আটক করেছি। তারা পুলিশ হেফাজতে আছেন। এ সংক্রান্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ আকারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
এ ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে তেলঘাট যাচ্ছিল ওয়াটার বাসটি। পথে এমভি আরাবি নামে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়। এ সময় আশেপাশের নৌযান থেকে বেশ কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তারা ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের লাশ ও পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন- ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়ার মো. ফাহিম, কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার মো. আলী এবং আরেকজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।