অগ্রসর রিপোর্ট : বঙ্গোপসাগর সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। এ কারণে উপকূল অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় দিতে কক্সবাজারের ৬৮টি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানিয়েছেন, কক্সবাজারে দুর্যোগপূর্ণ সময়ের কথা বিবেচনা করে আমরা ৬৮টি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। এতে করে অন্তত অর্ধলাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে বাঁচতে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের সকল হোটেল মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান, ঘূর্ণিঝড় মোখা যেহেতু কক্সবাজারমুখী, সেহেতু কক্সবাজারসহ সেন্টমার্টিন দ্বীপ একটু ঝুঁকিতে রয়েছে। এ জন্যই সেন্টমার্টিন দ্বীপের সকল হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে সেন্টমার্টিনে ভিন্ন জেলার লোকজনকে ইতোমধ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আবু সুফিয়ান আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার সংকেত ১০ নং বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সুত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত আছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৯টি মেডিকেল টিম। দেড় শত মেট্টিক টন চাল, ৬.৯ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন, ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ৯ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা মজুদ আছে। একই সঙ্গে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ইতোমধ্যে কক্সবাজারে স্কুল প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে ১,৮৭,৭০৩ জন (শুধুমাত্র সেন্টমার্টিনে ৪,৩০৩)।