অগ্রসর রিপোর্ট: সংবাদকর্মীদের কাছে বিদেশিরা বেশি পাত্তা পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের কারণে তারা বেশি পাত্তা পাচ্ছে। বিদেশিদের কাভারেজ বন্ধ করেন, দেখবেন ঘরে বসে হুক্কা খাবে।‘
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিক–বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা মনে করে তারা এ দেশের রাজা। তারা তথ্য সংগ্রহ করতে চায়, আমাদের অসুবিধা নেই। এগুলো নিয়ে গণমাধ্যমের মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই। আমাদের দেশে আমরা কোনো কিছু গোপন করি না। লুকিয়ে কোনো কাজ করি না। আমাদের দেশে ৪৫টি প্রাইভেট টেলিভিশন। প্রতিদিন সাড়ে ১২ হাজার পত্রিকা বের হয়। আর কোথাও আছে এমন? আমাদের এখানে প্রায় এক হাজার ৮০০ সাময়িকী বের হচ্ছে প্রতি মাসে। আর কোথাও আছে? কোথাও না।
মোমেন বলেন, ‘বিদেশিদের জ্ঞান সীমিত। বাংলাদেশ সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জ্ঞান রাখে বাঙালিরা। বিদেশিরা আমাদের যখন মাঝেমধ্যে সুপারিশ দেয়, তখন এগুলো খুব আহাম্মকের মতো মনে হয়। কারণ, এই দেশ হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম দেশ, যেখানে আমরা ডেমোক্রেসির (গণতন্ত্র) জন্য, মানবাধিকার, মানুষের ডিগনেটির (মর্যাদা) জন্য রক্ত দিয়েছি।’
ড. মোমেন বলেন, ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছে কিসের জন্য? গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। দুনিয়ার আর কোথাও ৩০ লাখ লোক রক্ত দেয়নি। তারপরও তারা আসছে আমাদের বোঝাতে। এখানে প্রত্যেকের হৃদয়ে ডেমোক্রেসি (গণতন্ত্র)। ইলেকশনে (নির্বাচন) যান ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের নিচে লোকে ভোট দেয় না। এর চেয়ে বেশি ভোট দেয়। আর যারা আমাদের সুপারিশ দেয়, তাদের দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ লোক ভোট দেয়। তারা কী করে এমন বড় বড় বকবক করে? নিজের দিকে তাকায় না কেন? তাদের দেশে প্রার্থী পাওয়া যায় না নির্বাচনের জন্য। এমন দুরবস্থা। আর আমাদের এখানে একটা কমিশনারের পদের জন্য ১০০ জন লোক নির্বাচন করেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ।