অগ্রসর রিপোর্ট:
রাজনীতি থেকে বিদায় নেয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের একজন কাউন্সিলরও না চাইলে তিনি কোনোদিনও পদে থাকবেন না।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন ও যুক্তরাজ্য সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি নিজেও আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব চান উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আওয়ামী লীগের একটি কাউন্সিলরও যদি বলে আমাকে চায় না, আমি কোনোদিনও থাকবো না। যেদিন আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট করেছিল তখন থেকেই এই সত্যটা মেনে যাচ্ছি। এটা ঠিক দীর্ঘদিন হয়ে যাচ্ছে। আমি চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। নেতৃত্ব কাউন্সিলররা নির্বাচিত করেন। তাদের সিদ্ধান্তটাই চূড়ান্ত। আর আমার তো আসলে সময় হয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে আর্থসামাজিক অগ্রগতি করে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা দিয়ে যান। এই স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদার স্বীকৃতি কিন্তু জাতিসংঘই দিয়েছিল। এরপরে দেশে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি হয়েছে। ক্ষমতা ছিল বন্দি, গণতন্ত্র ছিল না। ছিল মার্শাল ল, মিলিটারি শাসন, কারফিউ ইত্যাদি ইত্যাদি।
আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে এনেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আমরা গণতন্ত্র উদ্ধার করি। আমরা একটানা তিনবার ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় আছি, গণতান্ত্রিক ধারা বাংলাদেশে অব্যাহত আছে। এর বাইরে অনেক চড়াই-উতরাই, খুন-খারাবি, অগ্নিসংযোগ, অগ্নিসন্ত্রাস অনেক কিছু হয়েছে। এরপরেও আমরা ক্ষমতায় ছিলাম বলে আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এই সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।
এখন বিদায় নেয়ার জন্য আমি প্রস্তুত। #