অগ্রসর রিপোর্ট: সড়কে গাড়ি ভাঙচুর না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়কে প্রাণহানির জন্য দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে এ হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, যারা রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে বা বাসে আগুন দেয়, তাদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে না।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উদ্বোধন ও জয়িতা টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর করা ছাত্রদের কাজ না। এটা কেউ করবেন না। দয়া করে যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান, লেখাপড়া করেন। আর যারা দোষী, অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে, তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। সেটা আমরা করে যাব।
এদিকে, গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয়ের প্রাণহানির পরও স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি বাসে ভাঙচুর চালায়, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কমপক্ষে আটটি বাসে। এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ভবিষতে এই গাড়ি ভাঙচুর বা আগুন দেওয়া— এগুলো যারা করবে, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে। তাদেরকেও শাস্তি দেওয়া হবে। আর যে গাড়িতে আগুনে দেবে ওই গাড়িতে যদি কেউ মারা যায়, তার জন্যও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এ কথাটাও মাথায় রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে অনেক সতর্ক। সব জায়গার ভিডিও ফুটেজ আছে। যেকোনো সময় যে কেউ কোনো ধরনের অপরাধ করলে তাকে ধরে ফেলা খুব একটা কঠিন হচ্ছে না। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সেটি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও করা হবে।