অগ্রসর রিপোর্ট :নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ভবনের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া নিহতদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের জন্য হাড়, টিস্যুসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ। পাশাপাশি স্বজনদের রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব সংগ্রহের পর মরদেহের ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করতে কমপক্ষে ২১ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফরেনসিক বিভাগ। এরপরই হস্তান্তর করা হবে মরদেহ।
শনিবার দুপুর সোয়া ১২টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর মুনির।
তিনি বলেন, মরদেহের ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করতে সর্বনিম্ন ২১ দিন সময় লাগবে। এরপর লাশ হস্তান্তরে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
মোস্তাফিজুর মুনির বলেন, আমরা মরদেহের হাড় সংগ্রহ করে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করব। পরে এগুলোর প্রোফাইল আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে পাঠাব। তারাই লাশ হস্তান্তর করবে। আমরা এখন পর্যন্ত ৩০টি মরদেহ শনাক্তে ৪২ জন স্বজনের কাছ থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছি।
শুক্রবার থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, রবিবারও (১১ জুলাই) এখানে স্বল্প পরিসরে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। আমাদের টার্গেট ফুলফিল না হওয়া পর্যন্ত এখানে নমুনা সংগ্রহের বুথ থাকবে। পরে যদি কেউ বাদ পড়ে কোথায় নমুনা দিতে হবে সেটি জানিয়ে দেওয়া হবে।
মরদেহগুলে দেখে চেনা যাচ্ছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে মরদেহ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো চেনার কোনো উপায় নেই।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সেজান গ্রুপের ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। আগুনে বৃহস্পতিবার দুজনের মৃত্যু হয়। একজনের মৃত্যু হয় ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। শুক্রবার উদ্ধার করা হয় আরও ৪৯ লাশ। তাদের নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে। অধিকাংশ মরদেহই ভবনটির দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।