অগ্রসর রিপোর্ট :অগ্নিকাণ্ডের সময় ছয়তলা ভবনের সিকিউরিটি ইনচার্জ চারতলার কেচি গেটটি বন্ধ করে রাখায় কোনো শ্রমিকই বের হতে পারেননি। প্রতিদিন ৪ তলায় ৮০-৯০ জন শ্রমিক কাজ করতেন। চতুর্থ তলার শ্রমিকদের ইনচার্জ মাহবুব, সুফিয়া, তাকিয়া, আমেনা, রহিমা, রিপন, কম্পা রানী, নাজমুল, মাহমুদ, ওমরিতা, তাছলিমাসহ প্রায় ৮০-৯০ জন শ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এদের সবাই পুড়ে মারা গিয়েছেন বলে ধারণা করছেন কারখানা থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিকরা।
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবী করছেন শ্রমিকদের স্বজনরা। নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধানে তাদের স্বজনরা শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে কারখানার সামনে অবস্থান করছেন।
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় রাসেল নামের এক গণমাধ্যমকর্মী জানান, কী কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে সেটা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে এ পর্যন্ত যে সংখ্যা বলা হচ্ছে তারচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন। বেশিরভাগই পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের শনাক্ত এবং সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন। সরকারিভাবে যদিও ৫২ জনের কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হবে।
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড কারখানায় গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। রাতে তিনজন নিহতের সংবাদ মেলে। সারারাত ভবনটিতে আগুন জ্বলে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচুর চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রায় টানা ২১ ঘন্টা ধরে এই ভবনের চারতলায় আগুন জ্বলছিল।