অগ্রসর রিপোর্ট :রাজধানীর কোতায়ালি এলাকা থেকে জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও তৈরির সরঞ্জামসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তাঁতিবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব বলছে, গত অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত চারটি চালান ‘জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প’ ও ‘কোর্ট ফি’ বাজারে ছড়িয়েছে এই চক্রটি। যার মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আব্দুল রহমান হাওলাদার ও আবুল কালাম শিকদার। তাদের কাছ থেকে ৬১ লাখ ৫৬ হাজার সমমূল্যের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও জাল কোর্ট ফি উদ্ধার করা হয়েছে।
বিকালে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকারের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসে সরকারি রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি তৈরির কথা থাকলেও আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছিল এসব জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও জাল কোর্ট ফি। তারা চার লাখ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প বিক্রি করত মাত্র ৩২ হাজার টাকায়। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ জাল কোর্ট ফি ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুত ও বিপণন চক্রের সদস্য। তারা বেশ কিছু দিন ধরে জাল কোর্ট ফি ও জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তত ও সরবরাহ করে আসছিল।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার রহমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দুই কোটি এগার লাখ টাকা সমমূল্যের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, জাল নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও জাল কোর্ট ফি তৈরি ও সরবরাহ করার অপরাধে একটি মামলা রয়েছে। মামলার পর থেকে সে পলাতক থেকে এই ধরনের কাজ চালিয়ে আসছিল।
সাধারণ মানুষ কীভাবে চিনবে, কোনটা জাল আর কোনটা আসল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসলে এটা চেনা খুবই কঠিন। এটা বড় চিন্তার বিষয়।’
এসব কোথায় বিপণন করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা সমগ্র বাংলাদেশে তারা সরিয়ে দিয়েছে। ঢাকা শহরে যেহেতু তৈরি হচ্ছে, তার মানে আঁচ করা যাচ্ছে বিভাগীয়, জেলা পর্যায়ে এসব সরিয়েছে। আর এগুলো আদালত বা বিভিন্ন জায়গায় কমবেশি ব্যবহার হয়।’