অগ্রসর রিপোর্ট :বাগেরহাটে করোনা আক্রান্ত হয়ে নতুন করে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় ৬৬ জন মারা গেলেন। বাগেরহাটে সোমবার ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ হার এক দিনের ব্যবধানে ৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২.৭৮ শতাংশে।
এদিকে, করোনার হটস্পট মোংলায় ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। মোংলায় সংক্রমণ হার প্রায় ৪৬.৮৭ শতাংশ থেকে ২৪ ঘণ্টায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯.১৬ শতাংশ। ফকিরহাটে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এই উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৪৬. ৩৪ শতাংশ থেকে কমে ৪৫. ১৬ শতাংশ। সদরে উপজেলায় ৫৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সদরে করোনা সংক্রমণ হার ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৩. ৪৪ শতাশে দাঁড়িয়েছে। রামপালে ১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রামপালে করোনা সংক্রমণ হার ৬০ শতাংশ।
এছাড়া কচুয়ায় ৮ জন ও শরণখোলায় ৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
মোংলার পাশাপাশি নতুন হটস্পট আরও ৫ উপজেলা ফকিরহাট, রামপাল, বাগেরহাট সদর, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ। বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, করোনার হটস্পট মোংলায় সোমবার করোনা সংক্রমণের হার রেকর্ড পরিমান ৭৯.১৬ শতাংশ দাঁড়ালেও প্রশাসনের তৃতীয় দফায় কঠোর বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের চলাফেরা করছে। এই অবস্থায় মোংলায় দেয়া হয়নি লকডাউন।
জনসমাগমের উৎসস্থল হাটবাজারে রয়েছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রশাসনের আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধ কেউ মানছেন না। খেয়া নৌকাতে গাদাগাদি করে যাত্রী পারাপার চলছে। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। প্রশাসনের আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধ ২৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাটে দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত মার্চ মাস থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। তবে, জেলায় গত দুই সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের হার বেশি। মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও বাগেরহাট পৌরসভা এলাকা এখন করোনা হটস্পট হয়ে উঠেছে। জেলায় সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল। জেলায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এপর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায়েছে ২ হাজার ৬৩৬ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৬ জন। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৩ জন।