অগ্রসর রিপোর্ট :জুলাই মাসে চীনের সিনোফার্মের করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়ার আশা করছে সরকার। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, জুলাই মাসে চীনের সিনোফার্মের টিকার চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। এরপর ওই মাসেই টিকা আসতে পারে।
রবিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘সিনোফার্মার সঙ্গে আলোচনা আগেই শুরু হয়েছে। আশা করছি জুলাই মাসে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। চুক্তির পর ওই মাসেই টিকা পাওয়ার আশা করছি।’
বাংলাদেশে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। সেরাম থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে চুক্তি করেছিল বেক্সিমকো ফার্মা। চুক্তি অনুযায়ী আগামী জুন পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা সরবরাহের কথা থাকলেও মাত্র ৭০ লাখ ডোজ সরবরাহ করে সেরাম। ভারতের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে গত মার্চ থেকে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সেরাম। সংকট কাটাতে এরই মধ্যে রাশিয়া ও চীনের টিকার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সেই টিকা পেতে রাশিয়ার সঙ্গে দুই দফা আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, আলোচনা এখনো অব্যাহত আছে।
আর ভারতের কাছ থেকে অক্টোবর পরে টিকা পাওয়া যেতে পারে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে সবশেষ ১ জুন ফাইজার-বায়োএনটেকের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকার চালান দেশে আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে এ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। গত ২৭ মে জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজারের টিকা অনুমোদন পায়।