অগ্রসর রিপোর্ট :দেশে জরুরি চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বেলজিয়ামে উৎপাদিত এ টিকাটি এক ডোজের। এটি ১৮ বছর এবং তার উপরের বয়সের ব্যক্তির জন্য ব্যবহারযোগ্য।
মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ টিকার অনুমোদনের কথা জানানো হয়।
গত ১২ মার্চ ভ্যাকসিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও ১১ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরি ব্যবহারে জনসনের টিকার অনুমোদন দেয়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জানসেন-ক্লিয়াগ ইন্টারন্যাশনাল এনবি, বেলজিয়াম উৎপাদিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন (ইইউএ) প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর এমএনসি অ্যান্ড এইচ-এর মাধ্যমে ওষুধ প্রশাসনে আবেদন করা হয়।
আবেদনের প্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ভ্যাকসিনটির ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল পার্ট, সিএমসিপার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়ন করে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে ওষুধ ইনভেস্টিগেশনাল ড্রাগ, ভ্যাকসিন এবং মেডিকেল ডিভাইস মূল্যায়নের জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে ইইউএ প্রদান করে।
এটি সরকারের ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রদান করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এর সংরক্ষণ তাপমাত্রা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বহুজাতিক মার্কিন কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের সাবসিডিয়ারিতে চলা বেলজিয়ামের ‘জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি’ এবং নেদারল্যান্ডের ‘জ্যানসেন ভ্যাকসিন’ কোম্পানি এ টিকাটি উৎপাদন করেছে।
এ নিয়ে দেশে মোট ছয়টি টিকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অন্য পাঁচটি টিকা হলো- অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক এবং আমেরিকায় উৎপাদিত ফাইজারের টিকা।