অগ্রসর রিপোর্ট :নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াতে প্রোজেক্ট-৭৫ ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় ৬টি সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ৫০ হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।
এই প্রকল্পটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব মডেলের অধীনে সম্পন্ন হবে, সেক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দেশীয় শিপইয়ার্ডগুলোতে অনুরোধ প্রস্তাব আরএফপি জারি করবে। এই দেশীয় শিপইয়ার্ডগুলো বিদেশি সংস্থার সাথে একটি যৌথ উদ্যোগে ছয়টি প্রচলিত অর্থাৎ ডিজেল-বৈদ্যুতিন সাবমেরিন তৈরি করবে।
শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিলের (ডিএসি) একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষা সচিব এবং প্রতিরক্ষা সচিব (উৎপাদন) উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নৌবাহিনীর জন্য পি-৭৫ আই প্রকল্পের জন্য একটি অনুরোধ প্রস্তাব (আরএফপি) জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে চীনা সেনার হাতে কমপক্ষে ৭৫/৮০টি সাবমেরিন রয়েছে। যার মধ্যে ৮/১০টি পারমাণবিক শক্তি চালিত। তুলনায় ভারতের হাতে এই মুহূর্তে ১৫টি সাবমেরিন রয়েছে। ভারতের হাতে রয়েছে পারমাণবিক সাবমেরিন অরিহন্ত। অরিহন্তে রয়েছে ‘কে-১৫’ (সাগরিকা) আণবিক মিসাইল।
প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র।
সাম্প্রতিককালে চীনের সঙ্গে ভারতের যে সংঘাতের আবহে তৈরি হয়েছে তাতে চীনা লাল ফৌজকে টেক্কা দিতে এবার মাঠে নামছে নয়াদিল্লিও। আর সে সেজন্যই আগামীতে চীনা আগ্রাসন মোকাবিলা করতে ভারত অত্যাধুনিক সাবমেরিন তৈরিতে নজর দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: পার্সটুডে ও ইন্ডিয়া টুডে।